চোখ ওঠা কি ধরনের রোগ? চোখ ওঠা কি ছোঁয়াচে?

চোখ ওঠা কি ধরনের রোগ? চোখ ওঠা রোগ কি ছোঁয়াচে?

নূর আহমদ

গত কয়েকদিন ধরে (সেপ্টেম্বর ২০২২) দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ব্যাপকহারে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এটি একটি খুবই বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক রোগ। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘চট্টগ্রামে ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগী’ শিরোনামে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রামে হঠাৎ করে ঘরে ঘরে চোখ ওঠার রোগ দেখা দিয়েছে। চোখ ওঠার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাচ্ছে না। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চোখ ওঠলে স্কুলে না যেতে নোটিশও দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারেও বাড়ছে চোখ ওঠা রোগী।

চোখ ওঠা কি ধরনের রোগ? চোখ ওঠা কি ছোঁয়াচে?


জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তাছাড়া, জেনারেল হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারেও চোখ ওঠা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে এখন চোখ ওঠা রোগীর ভিড় বাড়ছে।

চমেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. তনুজা তানজিন বলেন, মৌসুম পরিবর্তন এবং গরমের কারণে চোখ ওঠা রোগটি হয়। এটি একটি ভাইরাস এবং ছোঁয়াচে। একটি পরিবারে একজনের হলে রোগটি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে করোনাভাইরাসের মত কনটাক্টিং কমাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যদের দূরে রাখতে হবে। তাছাড়া, কেউ আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।’

শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারাদেশে এখন চোখ ওঠা রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্মীপুরেও আমি বেশ কয়েকজন মানুষকে দেখেছি রোগটিতে আক্রান্ত হতে। ‘সর্বত্র ছড়াচ্ছে চোখ ওঠা রোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২তারিখে দৈনিক নয়াদিগন্তে। সেখানে বলা হয়, ‘‘চোখ ওঠা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার হচ্ছে। এক পরিবারের একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদের হচ্ছে। দেশের সর্বত্রই রোগটি ছড়িয়েছে বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। চোখ ওঠা রোগটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কনজাঙ্কটিভিজি বা কনজাঙ্কটিভা বলে। ভাইরাসের কারণে রোগটি হয়ে থাকে। রোগটি হলে কারো কারো কোনো চিকিৎসা ছাড়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আবার কারো চিকিৎসা লাগে। সাধারণত বছরের এ সময়টাতেই চোখ ওঠা রোগ হয়ে থাকে। এই রোগ হলে চোখ গোলাপি অথবা লাল হয়ে যায়।’’

এই রোগ সম্পর্কে একটি বিশ্বাস হচ্ছে, এটি ছোঁয়াচে। যেমন এই দু’টি প্রতিবেদনে কয়েকভাবে একে ছোঁয়াচে বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এবং বলা হয়েছে, ‘এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে করোনাভাইরাসের মত কনটাক্টিং কমাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যদের দূরে রাখতে হবে।’ বলা হয়েছে, ‘এক পরিবারের একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদের হচ্ছে।’

রোগটি সত্যিই ছোঁয়াচে কিনা, আমার বিশ্বাস, তা কখনোই নিবিড়ভাবে যাচাই করে দেখা হয়নি। দু’টি প্রতিবেদনেই রোগটিকে সিজনাল বলা হয়েছে, আবার ছোঁয়াচেও বলা হয়েছে। প্রথম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘চমেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. তনুজা তানজিন বলেন, মৌসুম পরিবর্তন এবং গরমের কারণে চোখ ওঠা রোগটি হয়। এটি একটি ভাইরাস এবং ছোঁয়াচে।’’ দ্বিতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘সাধারণত বছরের এ সময়টাতেই চোখ ওঠা রোগ হয়ে থাকে।’’

একদিকে বলা হয়েছে মৌসুম পরিবর্তন ও গরমের কারণে রোগটি হয়, আরেকদিকে বলা হয়েছে, এটি ছোঁয়াচে। সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী বক্তব্য।

এই বিষয়ে কিছু বিবেচ্য বিষয় খুব ঠান্ডামাথায় লক্ষ্য করার অনুরোধ করছি সবাইকে।

(১) যদি ঋতু পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই রোগটি হয়, তাহলে রোগটি ছোঁয়াচে হতে যাবে কেন? এই মৌসুমে কোনো এলাকায় প্রথমে যারা রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, তারা নিশ্চয়ই মৌসুম পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। তারা যদি এই কারণে রোগটিতে আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে তাদের পরে যারা এতে আক্রান্ত হয়েছে, তাদেরটা কেন মৌসুম পরিবর্তন ও গরমের কারণে না হয়ে ছোঁয়াচে হতে যাবে? প্রথমে আক্রান্ত এবং পরে আক্রান্ত সবাই এই একই কারণে রোগটিতে আক্রান্ত হওয়া একেবারেই সম্ভব। রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার বিপরীতধর্মী এই দু’টি কারণকে (মৌসুম পরিবর্তন এবং ছোঁয়াচে) এমনভাবে প্রচার করা হয়, মনে হয়, প্রথমে যারা এতে আক্রান্ত হয়, তারা শুধুই মৌসুম পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত হয় আর পরে যারা আক্রান্ত হয়, তারা মৌসুম পরিবর্তনের কারণে কোনোভাবেই আক্রান্ত হতে পারে না, তারা শুধু আগে আক্রান্তদের কাছ থেকেই আাক্রান্ত হয়। মৌসুম পরিবর্তন তাদের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারে না!

(২) প্রথম প্রতিবেদনে উল্লিখিত ডাক্তারের বক্তব্যে মনে হয়, চট্টগ্রামের কোনো এলাকায় প্রথমে শুধু একজন লোক রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, অন্যান্য এলাকার ‘পরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা’ সবাই দলবদ্ধ হয়ে তার সংস্পর্শে গিয়েছিল রোগটিতে আক্রান্ত হতে, যার ফলে তারাও আক্রান্ত হয়েছে! এমনটা কি ঘটেছে? অবশ্যই ঘটেনি। অন্যান্য এলাকার ‘পরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা’ও অবশ্যই মৌসুম পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে।

(৩) সারাদেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রথমে যে বা যারা রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, তারা যেভাবে মৌসুম পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এতে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের পরে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তারাও এই একই কারণে আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে আক্রান্তরা যেভাবে মৌসুম পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগটিতে আক্রান্ত হতে পারে, পরে আক্রান্তরা একই কারণে রোগটিতে আক্রান্ত হতে বাধা কোথায়!

(৪) একই পরিবারে কখনো দেখা যায় একাধিক লোক রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। যদি তারা একই সাথে বা সময়ে রোগটিতে আক্রান্ত হয়, তখন রোগটিকে ছোঁয়াচে বলার কোনো সুযোগ—ই নেই। আর যদি একজনের পর আরেক জন আক্রান্ত হয়, তখন অনেকেই মনে করেন রোগটি নিশ্চয়ই ছোঁয়াচে। না হলে একজনের পর আরেকজন কেন আক্রান্ত হবে? যারা এরকম মনে করেন, তাদের নিকট প্রশ্ন, ‘‘আপনি কিভাবে বুঝতে পেরেছেন, রোগটি একজন থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে? আপনি কি সংক্রমিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি দেখেছেন? আপনার সামনেই কি রোগটি একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে লাফ দিয়েছে? আপনি দেখেননি। আপনি এটাও দেখেননি, প্রথমে যিনি রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, তার শরীরে রোগটি কোত্থেকে জন্ম নিয়েছে? প্রথম জনের শরীরে রোগটি কোত্থেকে জন্ম নিয়েছে, আপনি তার ব্যাখ্যায় বলছেন, এটি মৌসুম পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে, তাহলে পরের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একই কারণ বুঝে নিতে আপনার সমস্যা কোথায়? রোগটি একজন থেকে আরেকজনকে আক্রমণ করে, এই বিষয়টা কোনোভাবে প্রমাণ করা যাবে?

(৫) যেসব পরিবারে একাধিক মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়, আমরা শুধু সেগুলোই দেখি। হাজার হাজার পরিবারে রোগটিতে মাত্র একজন বা দু’জন আক্রান্ত হয়, আমাদের সেই ঘটনাগুলোও বিবেচনায় নেয়া উচিত। সেগুলো দেখলেই অমাদের বিশ্বাস হবার কথা, রোগটি মোটেই ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু একই পরিবারের একাধিক মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হওয়া কোনোভাবেই প্রমাণ করে না, রোগটি ছোঁয়াচে। কারণ প্রথমজন ছোঁয়াচে হওয়া ছাড়াই যখন রোগটিতে আক্রান্ত হতে পেরেছে, পরের জনেরাও পারবে, বাধা দেয়ার কেউ নেই। আর প্রথমজন আক্রান্ত না হলে পরের মানুষগুলো রোগটিতে আক্রান্ত হতো না, এটা আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন?

(৬) চোখ ওঠা রোগটি যদি সত্যিই ছোঁয়াচে হতো, তাহলে সারাবছর মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হতো। বছরের কোনো সময় মানুষ রোগটি থেকে রক্ষা পেতো না। কারণ একজন থেকে আরেকজনের লেগেই থাকতো সারা বছর। রোগটি যদি সত্যিই ছোঁয়াচে হতো, তাহলে কোনো পরিবারে একজন মানুষ কোনোভাবে রোগটিতে আক্রান্ত হলে রোগটি ওই পরিবার থেকে আর কখনোই বিদায় নিতো না। ওই পরিবারের মানুষ রোগটি থেকে কখনোই মুক্তি পেতো না। কারণ তখন প্রথমজন থেকে দ্বিতীয় জন; আবার প্রথমজন সুস্থ হয়ে ওঠার পর দ্বিতীয় জন থেকে আবার প্রথম জন; দ্বিতীয়জন সুস্থ হয়ে ওঠার পর প্রথমজন থেকে আবার সে; এভাবে বাই রোটেশন রোগটিতে একজনের পর আরেকজন আক্রান্ত হতেই থাকতো, ওই পরিবার থেকে রোগটি কখনোই বিদায় নিতো না। আর যদি কোনো পরিবারে ৪—৫ জন সদস্য থাকে, তাহলে ওই পরিবারকে চিরজনমের মতো রোগটি জোঁকের মতো ধরে রাখতো। শুধু তাই, নয় ওই পরিবারের কোনো সদস্য বাইরে বের হলে তার কাছ থেকে অন্যজন, অন্যজন থেকে আরো অনেকে আক্রান্ত হতে হতে সারা বছর রোগটি সারাদেশের মানুষকে আক্রমণ করেই যেতো, রোগটি তখন আর ঋতু পরিবর্তন কালে সীমাবদ্ধ থাকতো না। কিন্তু এমন ঘটনা একটাও ঘটে না, কারণ রোগটি ছোঁয়াচে নয়, বরং এটি মৌসুমী রোগ। মৌসুম শেষে রোগটিতে মানুষ আর তেমন আক্রান্ত হয় না।

রোগটি নিয়ে আরেকটি ধারণা হচ্ছে, রোগটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এই বিষয়ে ‘রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ’ নামক একটি ফ্যাক্টচেকার ওয়েবসাইটে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয় ২১ সেপ্টেম্বও ২০২২ তারিখে ‘‘চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তির চোখও আক্রান্ত হয় কি?’’ শিরোনামে। সেখানে বলা হয়, ‘‘এই প্রশ্নের উত্তরে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অপথ্যালমোলজি তাদের ওয়েবসাইটের সাধারণ জিজ্ঞাসা অংশে বলছে, জীবানু আলোকরশ্মির সাহায্যে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কনজাংটিভাইটিস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের সাহায্যে ছড়ায়।’’

এই বক্তব্য থেকেও প্রমাণিত হয়, রোগটি ছোঁয়াচে নয়। কারণ এমনিতেই সমাজে রোগটি ছোঁয়াচে বলে প্রচারিত হচ্ছে। অশিক্ষিত মানুষদের পাশাপাশি শিক্ষিত মানুষরাও এটা বিশ্বাস করছে। এটা বিশ্বাস করার পরও মানুষ কি এই রোগে আক্রান্ত কারো গায়ে হাত দেবে? অথচ আমরা এমভভাবে এই রোগকে ছোঁয়াচে বলে বিশ্বাস করি যেন এই রোগের জীবানু আলোকরশ্মির সাহায্যে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে যায়!

এই রোগের মৌসুম সাধারণত বর্ষাশেষে হয়। প্রতি বছর বর্ষাকাল শেষের দিকে রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কোনো কোনো বছর ব্যাপক হয়, কোনো কোনো বছর ব্যাপক হয় না। ২০২২ সালে বর্ষাশেষে রোগটিতে ব্যাপকহারে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে তেমন ব্যাপক হয়নি রোগটি। সামনের যে কোনো বছর আবার ব্যাপক হতে পারে। যেই বছর রোগটি ব্যাপক হয় না, ওই বছর রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর আপনি রোগটিতে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন মানুষের সংস্পর্শে গিয়ে দেখবেন, রোগটিতে আপনি আক্রান্ত হন কিনা? দেখবেন, আক্রান্ত হননি।

আমি একটি এক্সপেরিমন্টে দিচ্ছি। রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর শেষের দিকে যখন মানুষের আক্রান্ত হবার হার কমে যায়, তখন সুস্থ ১০ জন লোক, এই রোগে আক্রান্ত ৫ জনের সংস্পর্শে যাবার পর, তাদের সাথে কোলাকুলি করার পর যদি দেখা যায়, ওই ১০ জনের সবাই বা অধিকাংশ ব্যক্তি রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে, রোগটি ছোঁয়াচে। কিন্তু যদি দেখা যায়, তাদের ২/১ জন রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, বাকি ৮/৯ জনই রোগটি থেকে বেঁচে গেছে বা কেউই আক্রান্ত হয়নি, তাহলে রোগটি ছোঁয়াচে নয়, এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আমার বিশ্বাস, রোগটির প্রাদুর্ভাবের শেষের দিকে এই রকম কোনো এক্সপেরিমেন্ট চালানো হলে দেখা যাবে, হয়তো ২/১ জন লোক রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, না হয় কেউই আক্রান্ত হয়নি। কারণ, রোগটি মোটেই ছোঁয়াচে নয়, বরং সম্পূর্ণ সিজনাল।

নূর আহমদ

ইউটিউব

ফেসবুক


Next Post Previous Post