ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়? ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় কি কি?
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়? ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় কি কি?
নূর আহমদ
ডায়াবেটিস একটি ভয়াবহ রোগ। ডায়াবেটিস কতটা ভয়াবহ রোগ, তা সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করতে পারেন কারা? সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করেন ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা। কাঠের মধ্যে যেভাবে ঘুণ ধরার পর কাঠের মেয়াদ দ্রুত শেষ হয়ে যায়, মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস হামলা করলেও মানুষের শরীর দ্রুত ধ্বংসের পথে চলে যায়। মানুষকে আর কোনো রোগ আক্রমণ না করলেও চলে। জীবন ধ্বংসের জন্য এই এক রোগই যথেষ্ট। এখনো পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর রোগ কোনটা জানেন? ক্যান্সার। একসময় বলা হতো, ‘ক্যান্সারের কোনো অ্যান্সার নেই’। এখনো পৃথিবীব্যাপী অগণিত মানুষ ক্যান্সারে মারা যায় প্রতি বছর, প্রতিক্ষণে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার পেছনেও মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ের পরও ক্যান্সার রোগী বেশিদিন বাঁচে না। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর ক্যান্সারের চিকিৎসা গ্রহণের পরও পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগ ক্যান্সারের চেয়েও একটা দিক থেকে ডায়াবেটিস বেশি মারাত্মক। ক্যান্সারে কেউ আক্রান্ত হলে যদি প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হয়, তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসার ফলে ক্যান্সার পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। বাংলাদেশের কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, ভারতের ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ম্যাথু ওয়েড এবং মাইকেল ক্লার্ক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসাশেষে সুস্থ হয়ে যান।
কিন্তু ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ, একবার কাউকে আক্রমণ করলে কোনো চিকিৎসায় ভালো হয় না, যত টাকাই খরচ করা হোক না কেন! রোগটি মানুষের পেছনে লাগলে মানুষকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক স্টেজ পার হবার পর ধরা খেলে মানুষ বেশি দিন বাঁচে না, মানুষকে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হয় না। আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে মানুষ দ্রুত মারা যায় না, মানুষকে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হয়। ডায়াবেটিসের আরো কিছু ভয়াবহ দিকের কথা জানা যাক।
এক. ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও বিপদ, কমে গেলেও বিপদ
মানুষ যখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় বা ডায়াবেটিস যখন বেড়ে যায়, তখন শরীরে বিভিন্ন রকম খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করে। যেমন: মাথার ভেতরে জ¦ালাপোড়া করতে শুরু করে, পিপাসা বেশি বেশি লাগে, প্র¯্রাব বেশি বেশি হতে থাকে। ডায়াবেটিস দেখা দিলে বা আচমকা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে অনেকের ডায়াবেটিস নীল (শূন্য) হয়ে গিয়েও তৎক্ষণাৎ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম গিয়ে তারা বিপদে পড়ে যান। এই সমস্যাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। সাধারণত ইনসুলিন বা মুখে সেবনযোগ্য ডায়াবেটিসের ওষুধের ডোজ বেশি হলে, খাবারে শর্করার পরিমাণ কম হলে, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলে, সময়ের খাবার সময়ে না খেলে বা কোনো খাবার মিস করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া শুরুর লক্ষণগুলো হলো মাথা ঘোরা, শরীর ঘেমে যাওয়া, ক্ষুধা লাগা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, অস্থিরতা, মাথাব্যথা, জোরে জোরে হৃদকম্পন হওয়া। অনেকের ঘুমের মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এর লক্ষণগুলো হলো ঘামে বিছানার চাদর ভিজে যাওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা, দুর্বল লাগা, অস্থিরতা। যদি শুরুতে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তি মাংসপেশিতে দুর্বলতা অনুভব করেন, কথা জড়িয়ে যায়, ঘোর লাগে, খিঁচুনি হতে পারে, অচেতন হতে পারেন, এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। [ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু, এনটিভি অনলাইন ৩০ আগস্ট, ২০১৫]
দুই. ডায়াবেটিস অঙ্গহানির একটি বড় কারণ
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের শরীরে, বিশেষ করে পায়ে বা হাতে কোনো ক্ষত বা ঘা হলে তা সহজে শুকায় না। অনেক সময় ক্ষত বা ঘা না শুকিয়ে বিস্তার লাভ করার কারণে ওই অঙ্গ কেটেও ফেলতে হয়। এইজন্য ডায়াবেটিক রোগীরা প্রতিটা পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হয়। ডায়াবেটিসের রোগীর জীবন হয় খুবই কঠিন ও বিপদসঙ্কুল।
তিন. খাওয়া দাওয়ায় লাগাম টেনে ধরতে হয়
ডায়াবেটিসের রোগীদেরকে খাওয়া—দাওয়ায় কঠোর সংযম পালন করতে হয়। নিয়মের বাইরে খেলে বা নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে ডায়াবেটিস চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে, শরীরে দেখা দেয় নানান জটিলতা। মজার এবং প্রিয় অনেক খাবার থেকে নিজেকে রাখতে হয় দূরে, বেশি বেশি বা মনমতো খাওয়াও যায় না, খেতে হয় বেছে বেছে এবং খুবই স্বল্প পরিমাণে। জীবনের অনেক মজা জীবনের মাঝপথে জীবনকে রেখে পালিয়ে যায়। জীবন হয়ে যায় জীবিত থেকেও মৃত মানুষের মতো, নিরামিষ।
চার. ডায়াবেটিস থেকে জন্ম নেয় আরো কিছু রোগ
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে কিছু গুরুতর রোগও দেখা দেয় শরীরে। ডায়াবেটিস ডেকে আনে আরো কয়েকটি রোগ। একটি হচ্ছে চোখে ঝাপসা দেখা, দ্বিতীয়টি হচ্ছে কিডনী বিকল হয়ে যাওয়া। বিশ্বব্যাপী অনেক অনেক মানুষ ডায়াবেটিস দেখা দেয়ার পর যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ না করার ফলে কিডনী বিকল হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস কি সত্যিই বংশগত রোগ?
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ফলে সৃষ্টি হওয়া আরেকটা রোগের নাম হৃদরোগ। ‘‘ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ’’ শিরোনামে প্রথম আলোয় ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে একটি নিবন্ধ লেখেন অধ্যাপক এস এম মুস্তফা জামান। সেখানে বলা হয়, ‘‘গবেষণা বলছে ৭০ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই অকালে মৃত্যুবরণ করে থাকেন। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ— এই দুটো পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।... এ দুটো সমস্যা পরস্পরের হাত ধরেই চলে। একটির ঝুঁকি কমালে অপরটির ঝুঁকিও কমে আসে।’’
বাংলাদেশ প্রতিদিনে ৬ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে ‘‘হৃদরোগ যখন ডায়াবেটিস রোগীর’’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন ডা. এম শমশের আলী। সেখানে বলা হয়, ‘‘ডায়াবেটিস রোগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি শতভাগ। আপনি যদি হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে চান তবে প্রথম অবস্থা থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনাকে বেশ তৎপর হতে হবে। ... এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের জটিলতা হিসেবে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা, ইনসুলিন প্রতিবন্ধকতা ও মেটাবলিক সিন্ড্রমের মতো অন্যান্য সমস্যা— যেগুলো হৃদরোগের সঙ্গে পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত।’’
পাঁচ. ডায়াবেটিস হলে সন্তান জন্মদানে বিপদ
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রেও অনেক বিপদে পড়েন নিজেও, গর্ভের সন্তানও। ‘ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে জন্ম নিতে পারে অস্বাভাবিক শিশু’ শিরোনামে একুশে টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. লতিফা আক্তার বলেন, ‘‘চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়াবেটিস আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং পরে গর্ভধারণ করতে হবে। যদি ডায়াবেটিসের পরিমাণ ৬—এর নিচে হয় তবে বাচ্চা নিতে পারবেন। যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে তবে শিশু অস্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে।’’
ছয়. মানসিক অস্থিরতার একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মন—মানসিকতা খুবই খারাপ থাকে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে শরীরের অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে চলে যায়। জীবন নিয়ে তারা একেবারে হতাশ হয়ে পড়েন। ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার দেখার ফলে অধিকাংশ সময় তাদের মানসিক অবস্থা থাকে খুবই শোচনীয়।
সাত. যৌনশক্তিও কমে যায় ডায়াবেটিস হলে
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের যৌনশক্তিও কমে যায়। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে বলে সঙ্গীকে তৃপ্তি দিতে পারে না এবং নিজেও তৃপ্তি লাভ করতে পারে না।
আট. ডায়াবেটিসের আরো কিছু স্বাস্থগত ক্ষতি
ডায়াবেটিসের আরো কিছু স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর দিক হলো: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, ওজন মাত্রাতিরিক্ত হ্রাস পাওয়া, শরীরে প্রচন্ড দুর্বলতা অনুভব করা, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
নয়. অল্প পরিশ্রমেই হাঁফিয়ে উঠে
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী সামান্য পরিশ্রমেই হাঁফিয়ে উঠে। কোনো কাজে শক্তি পায় না। মানুষের স্বাভাবিক কর্মশক্তির মতো যৌনশক্তিও হারিয়ে ফেলতে শুরু করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ। বিশেষ করে পুরুষরা। ‘কীভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে আপনার?’ শিরোনামে দৈনিক মানবজমিনে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, ‘‘যে সমস্ত রোগে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত, ডায়াবেটিস হল তার মধ্যে একটি। প্রতি বছর অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।...
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে ঠিক কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায় (মোট ১২টি) ...
২) খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ। সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
১২) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর যৌন অক্ষমতা তৈরি হয়। তিন—চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিক পুরুষরা সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম হন।
দশ. ডায়াবেটিস একটি ব্যয়বহুল রোগ
ডায়াবেটিস রোগীর পেছনে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে এবং ঔষধের পেছনে টাকা খরচ করতে করতে অনেকে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়। তাছাড়া যেসব ডায়াবেটিস রোগী ডায়াবেটিসের কারণে কিডনী বিকলতা সহ অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হন, তাদের পেছনে আরো বেশি টাকা খরচ হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত না হলে মানুষ এইসব বাড়তি খরচ থেকে বেঁচে থাকতে পারতো নিঃসন্দেহে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় কি কি?
আসুন আমরা ডায়াবেটিস থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার প্রচেষ্টা শুরু করি। এখনই, আজ থেকেই। জীবনকে স্বাভাবিক রাখতে হলে, সুস্থতা ধরে রাখতে হলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে আমাদেরকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘামঝরানো কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম করা। এর বিকল্প উপায় হচ্ছে কম কম খাওয়া বা ডায়েট কন্ট্রোল করা বা সর্বদা চিকন থাকার চেষ্টা করা। নিয়মিত কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম করলে অথবা ডায়েট কন্ট্রোল করলে অথবা সর্বদা চিকন থাকার চেষ্টা করলে মানুষের শরীরে চর্বি বা কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে বা জমা হতে পারে না। আর শরীরে চর্বি বা কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে বা জমা হয়ে গেলেই মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এজন্য দেখা যায়, যারা কায়িক শ্রমের বিভিন্ন পেশায় অনেক বছর ধরে নিয়মিত, তাদের বয়স অনেক বেশি হয়ে যাবার পরও তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় না।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য দৈনিক অন্তত ৪০ মিনিট কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করে যেতে হবে। সেটা হতে পারে যে কোনো ব্যায়াম, কৃষি বা গৃহস্থালীর কাজকর্ম বা কায়িক শ্রমনির্ভর খেলাধুলা। তাহলে শুধু ডায়াবেটিস নয়, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাক থেকেও আমরা রক্ষা পাবো, নিশ্চিতভাবে।
নূর আহমদ
ফিটনেস বিষয়ক গবেষক ও লেখক